স্টাফ রিপোর্টারঃ
কেন্দ্র করে হয়রানী মূলক অপহরণ মামলা
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ৩নং কুশমাইল ইউনিয়নের নিউগী গ্রামের পিতা মো: আ: ছালামের ছেলে মো: ওমর ফারুক হোসেন (প্রতিবন্ধী) জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে নিরীহ গংদের উপর মিথ্যা হয়রানী মূলক অপহরণ মামলা দায়ের।
অপহরণ মামলার বাদীনি স্বামী মো: আবুল হোসেনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম তার সহযোগী বাদীনির ভাই বৌ শেফালী আক্তার একই এলাকার বাসিন্দা। বাদিনীর গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বসতবাড়ী ভিটা নিয়ে বিভিন্ন ধরণের মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে।
বাদিনীর পরিবারের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে একটি দরবার নালিশ হয়। সেই দরবার নালিশে বাদিনী গংদের দোষী সাব্যস্ত করে। ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামছুল হক বসত বাড়ীর জায়গা ছেড়ে দিতে নির্দেশ প্রদান করেন। উভয় পক্ষের জবানবন্দীতে একশ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা করে। আপোষ নামায় উল্লেখ থাকে যে, বিবাদীগংরা বাদী মোছা: ফিরোজা বেগম গংদেরকে বসতবাড়ী জমি থেকে সরাইয়ে দিতে বাধ্য থাকিবে। শর্ত সমূহ ২৫/৫/২০২১ তারিখ হতে ২০/৫/২০২২ইং তারিখ পর্যন্ত অত্র চুক্তিপত্র দলিলে তারিখ বলবত থাকিবে। উল্লেখিত স্ট্যাম্পের সই চুক্তিনামা অবমাননা করে ভূক্তভোগী ওমর ফারুক হোসেন (প্রতিবন্ধী) গংদের উপর মিথ্যা অপহরণ মামলা যার সুত্র নং-ফুলবাড়ীয়া সিআর নং-৪৬৮/২২ (৩৮৭), তাং-৭/৬/২০২২ইং। বিবাদীরা হলেন- আব্দুল কদ্দুছের ছেলে (১) সাইফুল ইসলাম, মকবুল হোসেনের ছেলে (২) সোহাগ মিয়া, (৩) আবুল হাসিম, ওমর ফারুকের ছেলে (৪) নাজমুল হাসান, মৃত কমল ফকিরের ছেলে (৫) হযরত আলী সকলেই একই এলাকাবাসীর বাসিন্দা।
সরেজমিনে এলাকাবাসীর তথ্যে জানা যায়, এ মামলার বাদী মোছা: আনোয়ারা বেগম তার ছেলে মো: রানা মিয়াকে তার হেফাজতে রেখে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন রেখে মিথ্যা অপহরণ মামলা দায়ের করেন। অপহরণের ঘটনার তারিখের পরেও বাদিনীর ছেলে রানা মিয়া ভিকটিমকে কুশমাইল কামারপাড়া মোড় মার্কেটে বা আশপাশে রানা অপহরণকারীকে দেখতে পায়। এ ব্যাপারে কামার মার্কেটের মনোহারী দোকান মালিক শরীফ আলী, পিতা হাজী আশরাফ আলী, সাং-কুশমাইল রঘুনাথপুর, একই মার্কেটের মনোহারী দোকান মালিক দুুদু মিয়া, পিতামৃত: আব্দুর রহমান সরকার, সাং-নিউগী কুশমাইল। কুশমাইল রঘুনাথপুর বাইতুর রহমান নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার এতিম খানার বিপরীতে বসতবাড়ীর মালিক মোছা: রোকেয়া বেগম, স্বামী আবুল হোসেন এবং অত্র মাদ্রাসার অনেক ছাত্ররাই ভিকটিম রানাকে দেখতে পায়। এছাড়াও অপহরণের পর ভূক্তভোগীগংরা আত্মীয়ের সুত্রে মোবাইল ফোনে অপহরণকারী ভিমটিম রানা মিয়ার সন্ধান পান। ৪নং আসামী নাজমুল হাসানের বাবা, পিতা ওমর ফারুক হোসেন যার মোবাইল নং-০১৭৫৩-৬৫৮০১৩ ভূক্তভোগী আসামীর বাবা টাঙ্গাইল ঘাটাইল হানিফপুর এলাকায় মোবাইলে সাংবাদ পায় যে, বাসার মালিক নজরুল ইসলাম বিশিষ্ট ধান ব্যবসায়ী সখিনা অটো রাইস মিলের মালিক, আলিফ এন্টারপ্রাইজের বাসা ভিকটিম রানা অপহরণের মামলা করার পরেও ১৪/৭/২০২২ইং হইতে ২১/৭/২০২২ পর্যন্ত এই ভাড়াটিয়া মালিকের বাসায় থাকেন। মেসার্স হামিদপুর ফিলিং স্টেশনের পশ্চিম পার্শ্বে সখিনা অটো রাইস মিলের মালিক নজরুল ইসলামের বাসা। এ ব্যাপারে বাদিনী জেলা ময়মনসিংহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমলী আদালত যার মোঃ নং-৪৬৮/২০২২ (ফুলবাড়ীয়া) একটি মামলা দায়ের করেন। সুষ্ঠ তদন্ত করিয়া যাচাই বাছাই করিয়া নিরীহ প্রতিবন্ধীগংদের মামলা থেকে অব্যহত দেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ৩৩ কাচারী রোড, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির ৪ ও ৫ নং ভবনের বিপরীত পাশে।
ঢাকা কার্যালয়ঃ কে ৭৪/৫,কোরাতলী এআই ইউবি রোড খিলক্ষেত, ঢাকা, ১২২৯।
যোগাযোগঃ 01917925375 /01736554862 / 01721927699
প্রকাশক: মারুফ হোসেন কমল