কক্সবাজার জেলার চীফ রিপোর্টারঃ

- র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে এ পর্যন্ত হত্যাকারী, অপহরণকারী, সন্ত্রাসী, এজাহারনামীয় আসামী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, প্রতারকচক্র, ধর্ষণকারী, পর্ণোগ্রাফি বিস্তারকারী, চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

ভিকটিম মাদ্রাসা ছাত্রী (১৭) কক্সবাজার জেলার মহেষখালী এলাকায় একটি দাখিল মাদ্রাসায় নবম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ২০/০৭/২০২২ তারিখ সকাল আনুমানিক ০৭০০ ঘটিকায় সময় ভিকটিম এর পিতা দিনমজুর এর কাজ করার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে যায়। ভিকটিম এর মাতা তার পিতার বাসায় বেড়াতে যায়। একই দিন আনুমানিক ১৪০০ ঘটিকায় সময় ভিকটিম প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য নিজ ঘরের উত্তর পূর্ব পাশের্^ জঙ্গলের ভিতরে যায়। প্রকৃতি কাজ শেষে বাড়ী আসার পথে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা বিবাদী মোঃ এমরান (২১), মোঃ হাসান (২০) এবং মোঃ ফয়সাল (১৯) ভিকটিম এর মুখ চেপে ধরে অসৎ উদ্দেশ্যে হাছিল করার জন্য ভিকটিমকে পাহাড়ের ভিতরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে বিবাদী ১) মোঃ এমরান, মোঃ হাসান এবং মোঃ ফয়সাল ভিকটিম এর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষন করে। এ সংক্রান্তে ভিকটিম এর মাতা কক্সবাজার জেলার মহেষখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করে, যার নম্বর-৩৩ তারিখ ২৫ জুলাই ২০২২, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(৩)।

উক্ত ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্বের সাথে প্রচার করে। বর্ণিত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব-১ এর নিকট সাহায্য কামনা করে। এ প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১ তাৎক্ষনিকভাবে ধর্ষণকারীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে দ্রুততার সাথে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২০ আগস্ট ২০২২ তারিখ আনুমানকি ০৩.৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-১, উত্তরা, ঢাকা এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএমপি, ঢাকা বাড্ডা থানা সাতারকুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণকারী মোঃ এমরান (২১), পিতা- নুর আহমদ, জেলা- কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করে।

ধৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত গণধর্ষণের কথা স্বীকার করে। ভিকটিম বাড়িতে একা থাকায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধৃত আসামী মোঃ এমরান ও উল্লেখিত বিবাদীরা ভিকটিমকে পাহাড়ের ভিতর জঙ্গলে নিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষন করে । গ্রেফতার এড়ানোর উদ্দেশ্যে সে বর্ণিত স্থানে আত্মগোপন করেছিল বলে জানায়।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তুর করা হয়েছে।