চীফ রিপোর্টারঃ - গত ২৬/০২/২০২১ খ্রি. কবির হোসেন (ছদ্মনাম) ইমোতে হঠাৎ একটি ফোন আসে। স্যার আপনি কবির হোসেন বলছেন ? আমি ঢাকা ইমিগ্রেশন থেকে লামিয়া বলছি। আপনার নামে একটি বিদেশী পার্সেল এসেছে।যেহেতু যিনি এই পার্সেলটি পাঠিয়েছেন তিনি কাস্টমস ফি অপরিশোধিত রেখেছেন সেহেতু পার্সেলটি ছাড়াতে আপনাকে কাস্টমস এর ফি বাবদ ৫০,০০০/-(পঁঞ্চাশ) হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে। পার্সেলটি পাবার জন্য কবির হোসেন প্রতারক চক্রের দেয়া বিকাশ নম্বরে ৫০,০০০/-(পঁঞ্চাশ) হাজার টাকা পাঠান। পার্সেলের প্রলোভনে কবির হোসেন প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা দেয়ার দুই/তিন দিন পরে কবির হোসেনকে কাস্টমস অফিসার আরেফিন পরিচয়ে ভিন্ন একজন ইমোনম্বারে ফোনদিয়ে বলেন, আপনার নামে যে, পার্সেলটি এসেছে সেটি আমরা স্ক্যান করে অবৈধ ইউএস ডলার পয়েছি।আপনার নামে এখন মামলা হবে।” ভয় পেয়ে যান কবির হোসেন।কাস্টমস অফিসার আরো বলেন,আপনি যদি মামলা খেতে না চান তবে কাস্টমস ফি বাবদ আরো দেড় লক্ষ টাকা দিতে হবে।” কবির হোসেন প্রতারক চক্রের দেয়া কয়েকটি নগদ ও বিকাশ নম্বরে দেড় লক্ষ টাকা পাঠান। কিছুদিন পর কাস্টমস অফিসার আরেফিন ইমোতে ফোন দিয়ে কবির হোসেনকে জানান, আপনাকে বাঁচাতে দিয়ে আমি বিপদে পরে গেছি । আমি বিপদে পরলে আপনিও বিপদে পরে যাবেন।এখন আপনার এবং আমার বিপদ হতে রেহাই পেতে আরো টাকা লাগবে। ”কবির হোসেন তাদের কথায় গুরুত্ব না দিলে প্রতারক চক্রটি কৌশলে কবির হোসেনের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে ইমেইল এর মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন করে আরো টাকা চাইতে থাকে।ইমেইলের মাধ্যমে প্রতারক চক্রটি তাকে জানায় অবৈধ ইউএস ডলার আনায় আপনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।আপনি টাকা না দিলে আপনার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হবে।কবির হোসেন ভয়পেয়ে আরো দেড় লক্ষ টাকা পাঠায় প্রতারক চক্রের দেয়া নগদ নাম্বারে। এভাবে বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে কবির হোসেন এর কাছ থেকে দশ লক্ষেরও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি।
কবির হোসেন প্রতারক চক্রের ফাঁদে পরেছেন বুঝতে পেরে গত ২০ আগস্ট ২০২২খ্রি. সাইবার পুলিশ সেন্টারে অভিযোগ করেন। গতকাল আনুমানিক দুপুর ১.৩০ ঘন্টার সময় সাইবার ইনভেস্টিগেশনস এন্ড অপারেশনস্ এর বিশেষ পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম, পিপিএম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবং সহকারী পুলিশ সুপার কাজী আবুসাঈদ এর নেতৃত্বে একটি চৌকশ সাইবার টিম ইমান্দিপুর সাভার হতে (১) জাহিদুররহমান নিশাদ(২৮), পিতা-আনিসুররহমান, ঠিকানা-সি-৬০/৮, ইমান্দিপুর, থানা-সাভার, জেলা-ঢাকা এবং (২) অপু আহম্মেদ(২৩), পিতা-রহিমুদ্দিন, ঠিকানা- গেন্ডাবাড়ীনং-০২, থানা-সাভার, জেলা-ঢাকা দ্বয়কে গ্রেফতার করে।উদ্ধার করা হয় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ ও নগদ নম্বার সহ প্রাতরনার কাজে ব্যবহৃত ইলেট্রনিকস্ডিভাইস।
গ্রেফতার কৃতদের বিরুদ্ধে পল্টন থানার মামলা নং-৭১, তারিখ-৩০/০৮/২০২২খ্রি. ধারা-ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮এর ২৪(২)/২৫(২)/৩০(২)/৩৫(২) রুজু করা হয়।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ৩৩ কাচারী রোড, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির ৪ ও ৫ নং ভবনের বিপরীত পাশে।
ঢাকা কার্যালয়ঃ কে ৭৪/৫,কোরাতলী এআই ইউবি রোড খিলক্ষেত, ঢাকা, ১২২৯।
যোগাযোগঃ 01917925375 /01736554862 / 01721927699
প্রকাশক: মারুফ হোসেন কমল