চীফ রিপোর্টারঃ - দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে গতকাল ০৪টি অভিযোগের বিষয়ে (১টি অভিযান, ৩টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ) পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার অন্তর্গত মেঘনা নদীর তীরবর্তী রাজাপুর গ্রাম ও পাশ্ববর্তী এলাকায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত নদীতীর রক্ষা প্রকল্পে কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের যোগসাজশে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল ১৪-০৯-২০২২ খ্রি. তারিখে দুদক, সজেকা, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক জনাব রাফী মোঃ নাজমুস্ সা'দাৎ-এর নেতৃত্বে ৪ সদস্যের টিম অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে টিম বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-এর কার্যালয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দরপত্র, কার্যাদেশ, নোটিফিকেশন অব এওয়ার্ড ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা করে। পরবর্তীতে টিম অভিযোগে বর্ণিত রাজাপুর গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নৌকাযোগে পরিদর্শন করে। প্রকল্পের রেকর্ডপত্র, প্রকল্পের বাস্তবচিত্র ও স্থানীয় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের বক্তব্য থেকে টিম জানতে পারে প্রকল্পের মেয়াদ ছিল জুন ২০২২ পর্যন্ত, বর্তমানে প্রকল্প এলাকা প্রায় সম্পূর্ণ পানিতে নিমজ্জিত, প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ যা নিম্নমানের সামগ্রী দ্বারা সম্পাদিত। তবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী এ পর্যন্ত ৯টি প্যাকেজের ৬৬% শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং এর বিপরীতে এখন পর্যন্ত ৪ জন ঠিকাদারকে প্রায় ২৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
অভিযানকালে সংগৃহীত কাগজপত্রাদি ও অন্যান্য তথ্য পর্যালোচনা করে টিম কমিশনের প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৩টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ৩৩ কাচারী রোড, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবি সমিতির ৪ ও ৫ নং ভবনের বিপরীত পাশে।
ঢাকা কার্যালয়ঃ কে ৭৪/৫,কোরাতলী এআই ইউবি রোড খিলক্ষেত, ঢাকা, ১২২৯।
যোগাযোগঃ 01917925375 /01736554862 / 01721927699
প্রকাশক: মারুফ হোসেন কমল