চীফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এ হত্যা মামলায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আজ (১৩ নভেম্বর) বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ (দক্ষিণ)।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহার নামীয় ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত এজাহার বহির্ভূত ৬ জন। এর মধ্যে এজাহারভূক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন ও এজাহার বহির্ভূত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৮ জন বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে-১। মেহেদী হাসান রাসেল, ২। মোঃ অনিক সরকার, ৩। ইফতি মোশাররফ সকাল, ৪। মোঃ মেহেদী হাসান রবিন, ৫। মোঃ মেফতাহুল ইসলাম জিওন, ৬। মুনতাসির আলম জেমি, ৭। খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, ৮। মোঃ মুজাহিদুর রহমান, ৯। মুহতাসিম ফুয়াদ, ১০। মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, ১১। মোঃ আকাশ হোসেন, ১২। হোসেন মোহাম্মদ তোহা, ১৩। মাজেদুর রহমান, ১৪। শামীম বিল্লাহ, ১৫। মোয়াজ আবু হুরায়রা, ১৬। এ এস এম নাজমুস সাদাত, ১৭। ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, ১৮। অমিত সাহা, ১৯। মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, ২০। শামসুল আরেফিন রাফাত ও ২১। এস এম মাহমুদ সেতু।
অভিযুক্তদের মধ্যে পলাতক রয়েছে (এজাহার ভুক্ত ৩ জন)- ১। মোর্শেদুজ্জামান জিসান, ২। এহতেশামুল রাব্বি তানিম, ৩। মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও (এজাহার বহির্ভূত ১ জন) মোস্তবা রাফিদ ।
আজ (১৩ নভেম্বর) বেলা ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
আবরার হত্যাকান্ড সম্পর্কে মনিরুল ইসলাম বলেন, ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েট শেরে বাংলা হলে বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ৭ অক্টোবর এই হত্যার ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলা দায়েরের পর ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ, তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ, প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য সাক্ষ্য প্রমানাদি বিশ্লেষণে এই হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২৫ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। ২৫ জনের মধ্যে হলের ২০১১ নম্বর রুমে ১১ জন সরাসরি আবরারকে মারধরে অংশগ্রহণ করে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিতি ও অন্যান্য ভূমিকায় ১৪ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
হত্যার কারণ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মনিরুল ইসলাম বলেন, এ হত্যাকান্ডে একক কোন কারণ নেই, অভিযুক্তদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন, যথাযথ আনুগত্য প্রকাশ না করা, তীর্যক মন্তব্য করা, ছাত্র শিবির করতে পারে বা হিযবুত তাহরীর সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে এসব ধারণাসহ বিভিন্ন কারণে এই হত্যা হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এ মামলা তদন্তকালে ৩১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট আলামত জব্দ করা হয়েছে।
ডিএমপি নিউজ