ইলিয়াস আহমেদ ময়মনসিংহঃ
বুধবার দিন ভর ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা ভূমি অফিস ও সাব-রেজিষ্ট্রি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় দুদক কর্মকর্তাদের অনুসন্ধানে উপজেলা ভূমি অফিসে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতির প্রমান মিলেছে।
এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন ময়মনসিংহ সমন্বিত দূর্নীতি দমন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর। এ সময় সহকারী পরিদর্শক এমারত হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট দুদক সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ১২০৭ নং একটি মোকাদ্দমার ডিসিআর কাটার জন্য ভূমির প্রকৃত মালিক ভূমি কার্যালয়ে গেলে ঘুষ দাবি করেন অফিসের নাজির রুখতিয়ার উদ্দিন রুকন। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে চাপের মুখে ওই ব্যক্তির ডিসিআর কেটে দেন নাজির। তবে এর আগেই ভূক্তভোগী এ ঘটনায় ময়মনসিংহ সমন্বিত দূর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের সূত্র ধরে বুধবার (১৩ নভেম্বর) ভূমি অফিসে অভিযান চালায় দুদুক। অভিযানকালে অনিয়ম-দূর্নীতির ব্যাপক প্রমান মিলে। তাদের ভাষ্যমতে, উপজেলা ভূমি অফিসটি অনিয়ম-দূর্নীতিতে নিমজ্জিত। ঘুর ছাড়া এখানে কোন কাজ হয় না। অফিসের কার্যক্রমের খাতা-পত্রে সঠিক কোন রেকর্ডপত্র নেই। অনেক কাজের অনুমোদন থাকলেও কর্মকর্তার স্বাক্ষর নেই। অফিসের রেজিষ্ট্রারে এর প্রমান রয়েছে। অভিযানকালে কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট অনেকের বক্তব্য গ্রহন করা হয়েছে। তাদের বক্তব্যের অনিয়ম-দূর্নীতির সত্যতা রয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত নাজির রুখতিয়ার উদ্দিন রুকন সম্প্রতি বদলীয় হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্ট দুদক কর্মকর্তা জানায়, ভূমি অফিসের অনিয়ম-দূর্নীতির মূলহোতা নাজির রুখতিয়ার উদ্দিন রুকন হলেও এসব ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার(ভূমি), নাইটগার্ড মিনুয়ারা, অফিস সহকারী আরিফ রব্বানীসহ বেশ কয়েকজন জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া গেছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে দুপুরের পর উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের নকল নবিশদের একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান করলে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে তেমন কোন অনিয়মের প্রমান পাওয়া যায়নি বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।