চীফ রিপোর্টারঃ
দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক নিজ কার্যালয়ে এজাহার দায়ের ও ওই এজাহারের ভিত্তিতে তদন্তের ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
রিট আবেদনে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭ (সংশোধনী ২০১৯) এর ১ (২) (ঘঘ) (ছ), ৪, ৯ (ক), ১০ নম্বর বিধি ও ফরম-২খ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস ও ব্যারিস্টার নওশীন নাওয়াল। আবেদনের পক্ষে শুনানি করবেন অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইউম খান ও মমতাজ পারভীন।
রিটে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র ও সংসদ সচিবালয়ের সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজি ও দুদক সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
পরে অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস সাংবাদিকদের জানান, দুদকের উল্লেখিত বিধিমালা সংবিধানের ৩১, ৬৫(১) অনুচ্ছেদ এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারার পরিপন্থি।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারা অনুযায়ী যে কোনো ব্যক্তির অভিযোগ থানা রেকর্ড করতে বাধ্য। কিন্তু দুদকের ওই বিধিামালার কারণে এখন আর থানা দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে সরাসরি মামলা রেকর্ড করতে পারে না। কেবলমাত্র জিডি হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। জিডি গ্রহণের পর থানা অভিযোগটি দুদকে পাঠিয়ে দেবে। এরপর এ অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের পর দুদক মামলা করে।
আবেদনকারীর দাবি হচ্ছে এ বিধিমালার মাধ্যমে ফৌজদারি কার্যবিধিতে একজন নাগরিককে দেওয়া ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের মামলা করার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
দুদক নিজেই মামলা করার ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭ সংশোধন করে চলতি বছরের ২০ জুন গেজেট জারি করে। এই বিধিমালার ৪ নম্বর বিধিতে বলা হয়েছে, কোনো নাগরিক থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট থানা ওই অভিযোগ পাওয়ার পর তা জিডি হিসেবে গ্রহণ করে দুদকে পাঠিয়ে দেবে। ১০ নম্বর বিধিতে দুদককে তদন্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।