তথ্য প্রতিদিন – কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দেখাশোনা, রেজিস্ট্রেশন, চিকিৎসা, নিরাপত্তাসহ সার্বিক দায়িত্ব পালন করায় বিজিবি বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিজিবি দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় পিলখানায় কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে বক্তব্য দেওয়ার সময় বিজিবি সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
বিজিবি সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের প্রতি রয়েছে সীমান্ত রক্ষার মহান দায়িত্ব। সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান রোধ, আন্তঃসীমানা অপরাধরোধসহ নারী ও শিশু পাচার বন্ধ, সীমান্তবর্তী মানুষের জানমালের সুরক্ষা দেওয়া দায়িত্ব। আপনারা সে দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পালন করে চলেছেন। সেই দায়িত্ব পালনে সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন, সেটাই আমরা চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিজিবি বাহিনীর সফলতার জন্য বিজিবি পুনর্গঠনের আওতায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছে। প্রয়োজনে নতুন আইনও পাস করি। একটি শক্তিশালী আধুনিক ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে বিজিবি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। এখন বিজিবি জল-স্থল ও আকাশ পথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম। বিজিবি সংগঠন কাঠামোতে নতুন ইউনিট সৃষ্টির ফলে সুষ্ঠুভাবে সীমান্ত নিরাপত্তা দেওয়ার কাজ অনেক সহজ হয়েছে।
বিজিবিকে একটি বিশ্বমানের, আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তে স্মার্ট ডিজিটাল সার্ভিলেন্স অ্যান্ড টেকনিক্যাল রেসপন্স সিস্টেম চালু করা হয়েছে। আধুনিক সরঞ্জামাদি সংযুক্ত হয় বিজিবির অভিযানে সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত পার্বত্য সীমান্তে ১০৩৬ কিমি সড়ক নির্মাণের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং সেটা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে পার্বত্য সীমান্ত এলাকায় ৩১৭ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে।
সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি সীমান্তবর্তী মানুষের জানমালের নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা রক্ষা সহজ হয়েছে। ১৪ হাজার ৫টি সীমান্ত পিলারে এক সময় পাকিস্তান লেখা ছিল। সেখানে এখন বাংলাদেশ লেখা হয়েছে। সেজন্যও বিজিবিকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
সৌজন্যে, mp news