৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ বিনোদন রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রসূন রহমানের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘নিগ্রহকাল’
১৪, নভেম্বর, ২০১৯, ৬:০৩ অপরাহ্ণ -

বিনোদন তথ্য  প্রতিদিন

রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রসূন রহমানের
প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘নিগ্রহকাল’
বর্তমান বিশ্বমানচিত্রের আলোচিত ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রোহিঙ্গা। মিয়ানমারে গণহত্যা আর ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের অভ্যন্তরীণ জীবন-সংগ্রাম ও তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার আকুতিকে ধারণ করে পরিচালক প্রসূন রহমান নির্মাণ করেছিলেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘জন্মভূমি’।
এবার একই ইস্যু নিয়ে নির্মাণ করেছেন একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র। ৮৪ মিনিট ব্যাপ্তির এই চলচ্চিত্রটির নাম ‘নিগ্রহকাল’ বা দখড়হম ঢ়বৎরড়ফ ড়ভ চবৎংবপঁঃরড়হ. আইসিএলডিএস’র নিবেদনে এবং ইমাশন ক্রিয়েটরের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায়, মহাখালি এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে।
উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মেজর তারিক আহমেদ সিদ্দিকী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এছাড়াও থাকবেন বাংলাদেশের সাংবাদিক, কূটনীতিবিদ, গবেষক, ইতিহাসবিদ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকগণ।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে উদ্বোধনী প্রদর্শনী শো সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পরিচালক প্রসূন রহমান। এই সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আইসিএলডিএস’র নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ, আইসিএলডিএস’র পরিচালক ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু।
চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়া প্রসঙ্গে পরিচালক প্রসূন রহমান বলেন, ‘জীবন ঘনিষ্ঠ বা বাস্তবধর্মী চলচ্চিত্র তো এই দেশে এমনিতেই বেশী সিনেমা হলে জায়গা পায়না। তাই মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেপ্লেক্সগুলোতেই মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করছি আমরা। এরপর হয়তো শহরের বাইরে এবং দেশের বাইরে মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করবো। পাশাপাশি বেশ কিছু আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও অংশগ্রহণ করবে প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি।
‘নিগ্রহকাল’ সম্পর্কে প্রসূন বলেন, মিয়ানমার সরকার ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক হত্যাকান্ড চালালে জীবন বাঁচানোর জন্য প্রায় ১১ লাখ শরণার্থী নিজেদের জন্মভূমি ছেড়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশ সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের আশ্রয় দেয়। কিন্তু তারাই এদেশের জন্য একটি বড় সংকট তৈরি করেছে।
এই বৃহৎ জনগোষ্ঠিকে আশ্রয় দিতে দিয়ে বাংলাদেশ যে বিপুল ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে-মূলত এই বিষয়গুলোই আমি বিস্তাতির তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এই ডকুফিল্মটিতে। এই ইস্যুতে এদেশে অনেক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে কিন্তু সবগুলোই খ- খ-। আইসিএলডিএস’র সহযোগিতায় আমি চেষ্টা করেছি সম্পন্ন একটি চিত্র তুলে ধরতে। আমরা সাতটি খ-ে এটি নির্মাণ করেছি। সেখান থেকেই ৮৪ মিনিটে উদ্বোধনী প্রদর্শনী করছি।