আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। গত দুদিনের হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো শতাধিক। বিমান হামলায় হতাহতদের অধিংকাশই সাধারণ মানুষ বলে জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ও মিডল ইস্ট আই।
গাজা উপত্যকায় ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর নেতাকে হত্যার পর অসহায় ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। হামলার জন্য ইতিমধ্যে সেখানে কয়েক শ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে নেতানিয়াহু সরকার।
বুধবার গাজার পূর্ব অংশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই পুত্রসন্তানসহ নিহত হন রিফাত আয়াদ নামের ৫৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ কৃষক। তিনি দুই ছেলে আমীর (৮) ও ইসলামকে( ২৫) সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু তাদের আর বাড়ি ফেরা হয়নি। বাড়ির কাছাকাছি আসতেই ইসরায়েলি বিমান হামলায় একসঙ্গে প্রাণ হারান তারা তিনজনই।
কেবল এই তিনজনই নন, মঙ্গলবার ও বুধবার এই দু দিনের ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ নিহত হয়েছেন মোট ৩২ ফিলিস্তিনি। হামলায় আহত হয়েছেন আরো শতাধিক ফিলিস্তিনি। এদের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ জনই শিশু।
মঙ্গলবার ভোরে প্রতিরোধ সংগঠন ইসলামিক জিহাদের শীর্ষ কমান্ডার বাহা আবু আল-আত্তাকে সস্ত্রীক হত্যার মধ্য দিয়ে গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েল জানিয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী গাজায় কমপক্ষে ২০বার বিমান হামলা এবং ১০বার গোলাবর্ষণ করেছে। আবাসিক ভবন, গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিভিন্ন স্থাপনা এবং কৃষি জমি এসব হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
অন্যদিকে ইসরায়েলি হামলার জবাবে রকেট হামলা চালিয়েছে ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা। অবশ্য এসব রকেটের বেশির ভাগই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে মাঝ আকাশে ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রকেট হামলার কারণে সীমান্ত থেকে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইসরায়েল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেত এ ঘোষণা দেন।