শেখ রাজীব হাসান,গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
টঙ্গীতে ইউনিলিভার কোম্পানীর চুরি হয়ে যাওয়া ২৬ লাখ টাকার কসমেটিক্সস সামগ্রী উদ্ধার করেছে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর জনৈক মো: কামাল হোসেন টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
যাহাতে উল্লেখ করেন যে, আমি এবিএস এন্টারপ্রাইজের অধীনে জিএম হিসেবে কর্মরত আছি। আমি বিগত ৫ বছর যাবত ইউনিলিভার বাংলাদেশ লি: গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন উলুখোলা ওয়ার হাউজ হইতে বিভিন্ন ডিষ্ট্রিবিউটর হাউজে মালামাল সরবরাহ করে আসিতেছি। গত ১৩ নভেম্বর আনুমানিক রাত সাড়ে ১০ঘটিকার সময় গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন উলুখোলা ওয়ার হাউজ হইতে ইউনিলিভারের বিভিন্ন কসমেট্রিক্স সামগ্রী যাহা ৩৫৮ কার্টুন, যাহার মূল্য ৮ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা। উক্ত মালামাল এবং পিকআপ যাহার রেজিষ্ট্রেশন নং-১৭-২২২৬ লোড করে ড্রাইভার মো: আমিনুল ইসলাম বুঝিয়া নিয়া নেত্রকোণার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে।
ইতিমধ্যে উক্ত ড্রাইভার আমাকে অবহিত না করে উলুখোলা হইতে তাহার পরিচিত জনৈক রমজান আলী (২৪) কে গাড়ী তুলে। পরবর্তীতে প্রতিমধ্যে দিবাগত রাত ১৪ নভেম্বর আনুমানিক রাত ২.৪৫মিনিট সময় তাহার ভাড়াকৃত বাসা টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন সাতাইশ খরতৈল এর সামনে উক্ত গাড়ীটি পার্কিং করে তার সঙ্গীয় মো: রমজান আলীকে অটোরিক্সায় তুলে দিয়ে ড্রাইভার তাহার বাসায় যায়। পরবর্তীতে আনুমানিক রাত সাড়ে ৪ ঘটিকায় বাসা থেকে বের হয়ে গাড়ীটি দেখতে পায়নি। গাড়ীটি অজ্ঞাত নামা চোর বা চোরেরা উক্ত গাড়ীর মালামালসহ অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। গাড়ীর আনুমানিক মূল্য ১৮ লক্ষ টাকা।
উক্ত অভিযোগের সূত্র ধরে টঙ্গী পশ্চিম থানার উপ পরিদর্শক এসআই আবুল হাসান ও উপ পরিদর্শক এসআই ইয়াসিন আরাফাত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চোরাইকৃত মালামাল ও গাড়ী উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। চৌকস এই পুলিশ অফিসারদের চিরুনি অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া মালামাল ও চোর চক্রের সদস্য মনিরকে টঙ্গী বাজার থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় মনিরের টঙ্গী বাজার গোডাউন থেকে কিছু মাল উদ্ধার করে এবং ঢাকা চকবাজার থেকে আরো কিছু মাল উদ্ধার করে। সে টঙ্গী বাজার ইমরান এন্ড সালমা ব্রাদার্স এর সত্তাধিকারী। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী আশুলিয়া পলাশ পাম্পপিল গার্মেন্টস এর সামনে থেকে গাড়ী উদ্ধার করে। এব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানা অফিসার ইনচার্জ মো: এমদাদুল হক বলেন, চোর চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।