আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
পুরুষের প্রতি বৈষম্য বিলোপ ও স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) পালন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস। সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা পালনে পুরুষকে যোগ্যতর হতে পুরুষকে উৎসাহিত করা হয় এ দিবসে।
ত্রিনিদাদের নাগরিক জেরোম তিলকসিং’র বাবার জন্ম দিনে এ দিবসটি প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর পালন করা হচ্ছে। ১৯৯২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দিবসটি পালনের প্রথম সিদ্ধান্ত হয়। কিছুদিন এটা নিয়ে কোনো হৈ-চৈ ছিল না। পরে ১৯৯৯ সালে ত্রিনিদাদে জেরোম তিলকসিং দিবসটি পুনরায় পালনের উদ্যোগী হন।
চলতি বছর আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘পুরুষ ও ছেলেদের স্বাতন্ত্র্য’। ২০১৮ সালে দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘আদর্শ পুরুষ চরিত্র’। সমাজে ও পরিবারে পুরুষের অবদানকে উদযাপন করতেই পুরুষ দিবসের সূচনা হয়। এছাড়া পুরুষ ও ছেলেদের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, লিঙ্গ সম্পর্ক, লিঙ্গ সাম্য, আদর্শ পুরুষ চরিত্রকে তুলে ধরাও এ দিবস পালনের উদ্দেশ্য।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইউরোলজি বিভাগের অ্যান্ড্রলজি ইউনিট বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পালনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে। শুধু আদর, সোহাগ আর ভালবাসায় একটি শিশু বেড়ে উঠতে পারে না। সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হলে তাকে ব্যক্তিত্ববান হতে হয়, তাকে শক্তিশালী হতে হয়। বাস্তব জগতকে চিনতে হলে এবং ঝুঁকি নিয়ে শিখতে হলে পুরুষের ভূমিকা প্রয়োজন।
শিশুরা এসব শিখে তার পিতা ও পরিবারের পুরুষ সদস্যদের কাছ থেকে। ছেলে সন্তান তথা পুরুষের পরিপুর্ণ উন্নয়নে যত্নবান হওয়ার জন্য এবং তা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য দিবসটি পালন করছে বলে জানিয়েছে বিএসএমএমইউ’র অ্যান্ড্রলজি ইউনিট।