শেরপুরের নকলায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের রবি মৌসুমে ভূট্টা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৭০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে এক হাজার ৪০০ কেজি ভূট্টা বীজ, ১৪ হাজার কেজি ডাই এ্যমোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ও ৭ হাজার কেজি মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে এক বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এ বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. বোরহান উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. ফরিদা ইয়াছমিন বক্তব্য রাখেন। উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ফকির মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস। এ বিতরণী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা আওয়মী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রশিদ সরকার, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব সৈয়দ আলম মঞ্জু, উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মন্নাফ খাঁ, যুবলীগের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম সোহেল, যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম রিপন, কৃষিবিষয়ক পল্লী কবি মো. আব্দুল হালিমসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চার শতাধিক কৃষক-কৃষানী, আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ ও যুব লীগের নেতৃবৃন্দ, এলাকার গন্যমান্য এবং স্থানীয় সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস জানান, মঙ্গলবার ২০১৯-২০ অর্থবছরের রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় নকলা উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ৭০০ কৃষকের মাঝে প্রতি জনে ২০ কেজি করে ডাই এ্যমোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি), ১০ কেজি করে মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার ও ২ কেজি করে ভূট্টা বীজ বিতরণ করা হয়। তিনি আরও জানান, কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় নকলা উপজেলায় ৪০০ কৃষকের মাঝে সরিষা, ৭০০ জনের মাঝে ভূট্টা, ৩০০ জনের মাঝে গম, ২০ কৃষকের মাঝে সূর্যমুখী, ১০০ কৃষককে শীতকালীন মুগ ডাল ও ১০০ কৃষককে গ্রীষ্মকালীন মুগ ডারের বীজ ও বরাদ্দকৃত প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সার দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। এ হিসেব মতে, উপজেলার এক হাজার ৬২০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক ২০১৯-২০ অর্থবছরের রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে সার ও বীজ পাবেন।