১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ অপরাধ, ময়মনসিংহ ময়মনসিংহে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি প্রকল্পে ২৯২ কোটি টাকা দুর্নীতি, তদন্তে দুদক, অভিযুক্তদের বাঁচাতে নতুন ডিডির গোপন বৈঠক !
২০, আগস্ট, ২০২৩, ১২:১০ অপরাহ্ণ - প্রতিনিধি:

চীফ রিপোর্টার: – ময়মনসিংহ জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি প্রকল্পের ২৯২ কোটি ১১ লাখ টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর ময়মনসিংহ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) রোকন উদ্দিন ভূঁইয়াকে তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করেন জেলা প্রশাসক।

তদন্ত কাজের শেষের দিকে রোকন উদ্দিন ভূঁইয়াকে জামালপুরে বদলি করে সেখানে নেত্রকোণার উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। উপ-পরিচালক রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া তার পারিবারিক সমস্যার কথা জানিয়ে তার মেয়ের পরীক্ষা পর্যন্ত বদলি স্থগিত করার আবেদন করেন।

নেত্রকোণার উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদ তার পূর্ব পদের দায়িত্ব হস্তান্তর না করে এবং ময়মনসিংহ জেলার বিদায়ী উপ-পরিচালক থেকে দায়িত্ব বুঝে না নিয়ে নিজে নিজে জোরপূর্বক দায়িত্ব গ্রহণ করেন। উপ-পরিচালক রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া যেন অফিসে ঢুকতে না পারে সেজন্য সকল কর্মচারীকে নির্দেশ প্রদান করেন।

তাছাড়া তিনি অফিসে নতুন দুইটি তালা লাগিয়েছেন। অফিসের কর্মচারীকে বলেছেন, ‘ডিডি হারুন অফিস খুলে দিবেন। তারপর অন্যরা প্রবেশ করবেন।’ জোরপূর্বক দায়িত্বগ্রহণ ও অফিসে তালা দেওয়ার ঘটনায় ময়মনসিংহ অঞ্চলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এভাবে জোর করে অফিসে দায়িত্ব গ্রহণ করা যায় কি না উধ্বর্তন র্কর্তৃপক্ষের নিকট যোগাযোগ করলে তারা জানান, পূর্ববর্তী কর্মকর্তার নিকট থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করে দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং পূর্ববর্তী কর্মস্থল হতে ছাড়পত্র গ্রহণ করার নীতি রয়েছে।

এছাড়াও জনৈক ব্যক্তি বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে ময়মনসিংহ জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ৭ জন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন, যার মামলা নং ০১/২০২৩। এর প্রেক্ষিতে আদালত ময়মনসিংহ দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে দুদকের তদন্তও চলছে। বর্তমান উপ-পরিচালক দুদকের তদন্ত চলাকালে অভিযুক্ত ৭ জন কর্মকর্তাকে নিয়ে নিজ কার্যালয়ে ও বিভিন্ন স্থানে বৈঠক করে আসছেন বলে জানা গেছে। গোপনসূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাইয়ে দিবেন আশ্বাসে আর্থিক লেনদেনও করেছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে নেত্রকোণা ও শেরপুরে থাকালীনও উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদের নামে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।