তথ্য প্রতিদিন.কম:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটুক্তি ও মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল জেলা ময়মনসিংহের বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় খাইরুল ইসলাম,ফারুক আহমেদ সহ ১০/১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণীতে এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পরিবারের সন্তান। তিনি ছাত্র জীবন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও সংগ্রামে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্র রাজনীতি শেষে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন সাহসী কর্মী হিসাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এ ছাড়াও তিনি ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবীসমিতির সভাপতি। অন্যদিকে আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আসামিগণ সাইবার ও ডিজিটাল সন্ত্রাসী, আইন অমান্যকারী প্রকৃতির লোক।
তারা দীর্ঘদিন ধরে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। ধারাবাহিকতায় ১৪ আগস্ট ২০২১ তারিখে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত দেলোয়ার হোসেন সাঈদী অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্যুবরণকে কেন্দ্র করে আসামিদ্বয় অজ্ঞাতনামা আসামি গনের প্ররোচনায় ও পরস্পর যুগ সাজসে ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শন, মিথ্যা বলে জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতার মহান স্থপতি, স্বাধীনতার ঘোষক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অপমান, বিরক্ত ও করার অভিপ্রায়ে এবং বিভ্রান্ত ছড়িয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট মানহানিকর বক্তব্য, ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করে ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুন্ন করার বিভ্রান্তি বা অপপ্রচার করে আইনশৃংখলার চরম অবনতি ঘটিয়ে বিভিন্ন শ্রেনী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা ঘৃণা এবং বিদ্ধেষ সৃষ্টি করে।
২০ আগস্ট ২০২৩ আনুমানিক সকাল ১০টায় জেলা আইনজীবী সমিতির কক্ষে বসে আসামিগণের আপলোডকৃত স্ট্যাটাস, ছবি, ভিডিও ও কমেন্টস দেখতে পেয়ে এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল facebook আইডি থেকে স্ক্রিনশট গ্রহণ করেন। আপলোডকৃত স্ট্যাটাস, ছবি, ভিডিও ও কমেন্টস দেখে তিনি ভীষণ মর্মাহত ও অনুভূতিতে চরম আঘাতপ্রাপ্ত হন। ঘটনার বিস্তারিত সাক্ষীদের সাথে ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে আলোচনা করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
২৯ আগস্ট সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে দায়ের করা মামলা নম্বর ৯৫ / ২০২৩। বাদীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মাহবুব আলম মামুন। তাকে সহায়তা করেন এডভোকেট পীযূষ কান্তি সরকার, এডভোকেট শফিকুল ইসলাম, এডভোকেট এবিএম নুরুজ্জামান খোকন, এডভোকেট মফিজ উদ্দিন মন্ডল, এডভোকেট মোজাক্কির হোসেন, এডভোকেট স্বপন কুমার সরকার, এডভোকেট মোজাম্মেল হক প্রমুখ।