১৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ নির্বাচনের মাঠ, ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ – ১ হালুয়াঘাট – ধোবাউড়া আসনের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নাজমুল হক মন্ডল।।
১, সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ - প্রতিনিধি:

তথ্য প্রতিদিন – : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন হালুয়াটের কৃতি সন্তান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ নাজমুল হক মন্ডল। হালুয়াঘাটের মোজাখালী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত ভূ-স্বামী পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

বাবা আকরাম হোসেন মন্ডল ও চাচা কুদরত উল্লাহ মন্ডল ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। চাচা কুদরত উল্লাহ মন্ডলকে ‘সীমান্তবন্ধু’ বলা হতো। ১৯৭০ এর নির্বাচনে কুদরত উল্লাহ মন্ডল প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর আহ্বানের পর কুদরত মন্ডল হালুয়াঘাটে সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে সংগ্রাম চালিয়ে যান। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য হালুয়াঘাট সীমান্তে মানুষের ঢল বাড়তে থাকলে কুদরত মন্ডল ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গাছুয়াপাড়ায় ‘ইয়ুথ ক্যাম্প’ স্থাপন করেন এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে পরিচালনা করতে থাকেন। দেশ স্বাধীন হলে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

নাজমুল হক মন্ডলের বাবা আকরাম হোসেন মন্ডল হালুয়াঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। কুদরত মন্ডলের নেতৃত্বে গঠিত সংগ্রাম পরিষদের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক লীগের হালুয়াঘাট থানা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা উত্তর সময়েও তিনি ৩ মেয়াদে ১৮ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। বাবা-চাচার ন্যায় নাজমুল হক মন্ডলও ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। স্কুল জীবনে বিড়ইডাকুনী উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ও সভাপতি, ১৯৮৪ সালে হালুয়াঘাট থানা শাখা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি, ১৯৮৬ সালে সভাপতি, পরে ময়মনসিংহ জেলা শাখা ছাত্রলীগের সদস্য হন। ১৯৮৭ সালে হালুয়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, ২০০৩ সালে ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদক, পরে সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সর্বশেষ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হন।

গণমাধ্যম কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান তার মনোনয়ন প্রত্যাশা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ভাবনা সম্পর্কে। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো।

আমাদের হালুয়াঘাটে যে দু’টা স্থলবন্দর রয়েছে, বর্তমান সরকারের মাধ্যমে তা কার্যকর করে আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমে ময়মনসিংহের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হউক, এটা আমরা চাই।

নাজমুল হক মন্ডল বলেন আমার বাবা-চাচা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ছিলেন। দু’জনই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। আমিও পারিবারিকভাবেই ছাত্র বয়স থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তাই আমি মনে করি- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি যোগ্য মনে করেন এই দিক থেকে আমি মনোনয়ন পাওয়া যোগ্য।
তিনি বলেন

আমি যদি নির্বাচিত হয় হালুয়াঘাট-ধোবাউড়ায় যেসব উন্নয়ন কাজ হয়নি, তা সম্পন্ন করবো। বাংলাদেশ যেভাবে আগাচ্ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাবো।

নাজমুল হক মন্ডল বলেন আমার বাবা-চাচা যখন জনপ্রতিনিধি ছিলেন, কোনো অন্যায় বা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেননি। আমিও একটি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ চাই, যেখানে মানুষ তার অধিকার নিয়ে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারবে।

আমার মূল লক্ষ্য যুব সমাজ। যুব সমাজকে রক্ষা করতে হবে। যুব সমাজকে রক্ষার করতে হালুয়াঘাট-ধোবাউড়ায় মাদক নির্মূলে আমার ভূমিকা শতভাগ থাকবে।

আমি মনে করি, হালুয়াঘাট মন্ডল বাড়ী থেকে কেউ প্রার্থী হলে আবার সবাই ঐক্যবদ্ধ হবে। মানুষ মন্ডলবাড়ীর প্রার্থীকেই ভোট দিবে, ব্যক্তি নাজমুল মন্ডলকে না।
আমার বাবা-চাচা অর্থাৎ আমার পরিবার সম্পর্কে মানুষ জানে। আমাদের পরিবার সবসময় মানুষের পাশে ছিলো। মানুষ আমার বাবা-চাচাকে স্বতঃস্পূর্তভাবে নির্বাচিত করেছে। তাই সেই বাস্তবতা থেকে মানুষ আমাকেও নির্বাচিত করবে বলে মনে করি।

হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের আমলে নাজমুল হক মন্ডল এর বাবা ও দুই ভাই কারাবরণ করেছেন ।

সামাজিক কর্মকান্ডে তার শতভাগ অংশগ্রহণ রয়েছে। যেকোন সময় মানুষের বিপদে পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করি। কেউ চিকিৎসার সমস্যায় ভূগলে তাকে সহায়তা করেন। মন্ডলবাড়ীর দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত।

নাজমুল হক মন্ডল বলেন আমি আশাবাদী হালুয়াঘাট-ধোবাউড়ায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন আমি পাবো।
আমি নানা ঘাত-প্রতিঘাতে বড় হয়েছি। হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া মানুষে আমাদের পরিবারকে ভালোবাসেন। প্রার্থী হলে মানুষ আমাকে নির্বাচিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।