৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ আন্তর্জাতিক হনুমান নিলো ওষুধ ও চিকিৎসা।
২০, নভেম্বর, ২০১৯, ৪:৩২ অপরাহ্ণ -

আন্তর্জাতিক

কোথায় গেলে চিকিৎসা মিলবে, ওষুধ পাওয়া যাবে তা হনুমানও জানে! তাই ক্ষতবিক্ষত হয়ে সরাসরি ওষুধের দোকানে হাজির হলো এক হনুমান। দোকানদারকে ক্ষতের জায়গা দেখিয়ে ওষুধ খেয়ে তবেই ফিরেছে সে। এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলায়।

গত ১৬ নভেম্বর, শনিবার সকাল নয়টায় পুরুলিয়ার মল্লারপুর স্টেশনে দুই পূর্ণবয়স্ক হনুমান মারপিটে লিপ্ত হয়। তখন লোকজনের ভিড় জমে যায় এবং কেউ কেউ হাততালিও দিতে থাকেন। মারামারিতে আহত হয় দুটি হনুমানই। কিছুক্ষণ পর একটি পালিয়ে যায়। অন্যটি চুপচাপ বসে থাকে। এর আহত স্থান থেকে রক্ত ঝরতে থাকে।

কিছুক্ষণ পর হঠাৎ করে একটি অটোরিক্সায় চড়ে বসে আহত হনুমানটি। এই কাণ্ডে ভয়ে পেয়ে যায় অটোরিক্সায় থাকা যাত্রী। কিন্তু হনুমানটি করুণ চোখে সহযাত্রীদের গায়ে হাত রেখে বোঝানোর চেষ্টা করে সে আক্রমণ করবে না। মল্লারপর স্টেশন থেকে খানিকটা দূরে পঞ্চায়েত ভবন, সেখানেই একটি ওষুধের দোকানের সামনে ঝুপ করে নেমে পড়ে হনুমানটি।

দোকানের সামনে বেঞ্চে বসে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে হনুমানটি। দোকানের ভিড় কমতেই লাফ দিয়ে কাউন্টারে উঠে বসে। কোমরের নীচে ও শরীরের অন্য অংশে ক্ষতস্থানগুলো দোকানের মালিক আনাজুল আজিমকে দেখাতে থাকে। তার হাত ধরে টানাটানি করে চিকিৎসার জন্য।

তখন স্থানীয় এক যুবকের সহায়তায় আহত হনুমানের ক্ষত স্থানে মলম ও ব্যান্ডেজ করে দেন দোকান মালিক। ওষুধ লাগিয়ে দেয়ার পরেও ক্ষতস্থান বার বার দেখাতে থাকায় হনুমানটিকে ব্যথা কমার ওষুধও খাওয়ানো হয়। ওষুধের সঙ্গে কয়েকটি কলাও দেওয়া হয় আহত হনুমানটিকে। এসব খেয়ে কিছুক্ষণ বসে থেকে দোকানের মালিক আজিমের কাঁধে হাত রেখে কাউন্টার থেকে রাস্তায় নেমে যায়। তারপর স্টেশনগামী পথ ধরে হনুমানটি।

এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী গবেষকদের মত হলো, ‘যেসব প্রাণী মানুষের কাছাকাছি থাকে তাদের কেউ কেউ মানুষের আচরণ, কার্যকলাপ অনুসরণ করে। এদের মধ্যে হনুমান, বাঁদর বা কুকুরের অনুসরণের ক্ষমতা অনেক বেশি।’
সূত্র : আনন্দবাজার