নিজস্ব প্রতিবেদক
পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ নিয়ে শাহজালাল বিমান বন্দরে অবতরণ করলো প্রথম কার্গো উড়োজাহাজ। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে একটি বেসরকারি সিল্ক সংস্থার পণ্য পরিবহনকারী উড়োজাহাজে এই চালান আমদানি হয়।
চালানটির আমদানিকারক ঢাকার শাদ এন্টারপ্রাইজ। চালানটিতে ৮১ টন ৫০০ কেজি পেঁয়াজ রয়েছে। পেঁয়াজবাহী উড়োজাহাজটি অবতরণের পর চালানটি খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ঢাকা কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন বুধবার জানান, সিল্কওয়ে উড়োজাহাজের ‘সেভেনএল ৩০৮৬’ ফ্লাইটে পেঁয়াজের প্রথম চালানটি এসেছে।
কাস্টমস অফিস সূত্র জানিয়েছে, উড়োজাহাজে করে আসা পেঁয়াজ আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাজারে পাওয়া যাবে।
এছাড়াও চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপের প্রথম চালান আসবে বুধবার রাত একটায়। সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানে প্রথম চালানটি এসে পৌঁছাবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিসমিল্লাহ এয়ারলাইন্সের পণ্যবাহী উড়োজাহাজে দ্বিতীয় চালান আসবে। আগামী শুক্রবার তৃতীয় চালান আসবে সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানে।
আকাশপথে পেঁয়াজের চালান আনার জন্য উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্র থেকে এ পর্যন্ত দুই হাজার সাত টনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। শাদ এন্টারপ্রাইজ ছাড়াও এস আলম গ্রুপ অনুমতি নিয়েছে এক হাজার ৯২৫ টনের।
এদিকে আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য চার্জ জনস্বার্থে মওকুফ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বুধবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আকাশপথে যেকোনো পচনশীল দ্রব্য পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে ১৮ টাকা চার্জ দিতে হয়। বুধবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক বলেছেন, পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য জনস্বার্থে যতদিন আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে ততদিন চার্জ মওকুফের ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে। আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানিতে সম্পৃক্ত সকল ব্যবসায়ীকে এ ব্যাপারে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করা হবে।