১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ অপরাধ, ময়মনসিংহ ভালুকায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত।।
৯, অক্টোবর, ২০২৩, ৫:৪১ অপরাহ্ণ - প্রতিনিধি:

চীফ রিপোর্টার: – ময়মনসিংহের ভালুকায় শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মতামতকে উপেক্ষা করে কোন কারণ ছাড়াই নুপুর আক্তার নামে এক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমদ ও সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসাইনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছে এলাকাবাসী। গত

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ৭১ নং কাদিগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন কাচিনা- মল্লিকবাড়ি সড়কে এই মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তারা জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবকদের মতামতকে উপেক্ষা করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুপুর আক্তারের বিরুদ্ধে কোন কারন ছাড়াই টিইও- এটিইও ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে নুপুর আক্তারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়েছেন এই দুই কর্মকর্তা। সকল শিক্ষক দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান এবং শিক্ষা অফিসার কে বার বার নূপুর আক্তারকে দায়িত্বে রাখতে বলার পরও দায়িত্ব পরিবর্তন করেন শিক্ষা অফিসার।
এমনকি যাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনিও দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানালেও তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানান মাহমুদা পারভীন নামে ওই শিক্ষিকা।

এর আগে স্কুলের সীমানা থেকে ভূমিদস্যু সাইফুল ইসলাম ও তার জামাতা রমিজ খানের বিরুদ্ধে বাশ কেটে মাটি ভরাট করে দখলের অভিযোগ করলেও অনৈতিক সুবিধা নিয়ে টিইও সৈয়দ আহমেদ নীরব ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী৷
শিক্ষা অফিসারদ্বয়ের এহেন অনৈতিক কর্মকান্ডে অসন্তোষ বিরাজ করছে স্কুলের অভিভাবক, এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের মধ্যে। এখানে বড় ধরনের কোন ষড়যন্ত্র বা অনৈতিক আর্থিক সুবিধা নিয়ে এমন কিছু করেছেন কিনা তা নিয়ে তদন্তের দাবী উঠেছে।

অপরদিকে গতমাসে উপজেলার ৭১ নং কাদিগড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নুপুর আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে বহাল রাখতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অভিভাবক, ওই স্কুলের কর্মরত শিক্ষক/ শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকে আলাদা ৩ টি আবেদন করা হয়েছিলো। এসবের কোন কিছুতেই পাত্তা দেননি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমদ ও সহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন।
এর আগেও পার্শ্ববর্তী ত্রিশাল উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ছিল সৈয়দ আহমেদের বিরুদ্ধে। টিইও সৈয়দ আহমেদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারনে এলাকাবাসীর সাথে শিক্ষা অফিস মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হয়েছে এবং শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে মানববন্ধন থেকে জানানো হয়।