৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ বিনোদন সব সময় ভালো গল্পের অপেক্ষায় থাকি: আইশা খান
৭, মে, ২০২৪, ২:৩২ অপরাহ্ণ - প্রতিনিধি:

বিনোদন তথ্য প্রতিদিন: ছোট পর্দার এ সময়ের অভিনেত্রী আইশা খান। ‘আহত ফুলের গল্প’র ছয় বছর পর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র হাতে নিলেন-প্রসূন রহমানের ‘শেকড়’। গতকাল সোমবার থেকে ছবিটির শুটিং করবেন আইশা। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন সংবাদমাধ্যম।
শেকড়ে নামার আগে
গতকাল সোমবার থেকে ‘শেকড়’-এর শুটিং চলবে টানা ২০ দিন। গাজীপুর, রাজশাহী ও কুষ্টিয়ায় প্রথম লটের শুটিং শেষ করে ঢাকায় ফিরতে ফিরতে মে মাসের শেষ সপ্তাহ। তাই নিজের তাগিদে হাতে থাকা অন্য কাজ শেষ করছেন আইশা। গত রোববার করলেন অমিতাভ আহমেদ রানার একটি নাটকের শুটিং। এই নাটকে তাঁর সহশিল্পী তৌসিফ মাহবুব। আইশা বলেন, ‘চাই না কেউ আমার জন্য ঝুলে থাকুক। তাই যেসব কাজ পেন্ডিং ছিল সেগুলো নিজে থেকে নির্মাতাদের বলে শেষ করেছি। তা ছাড়া একটা কাজের মধ্যে আমি আরেকটা কাজের চাপ নিতে চাই না।
ছবির চরিত্রের মধ্যেই ডুবে থাকতে চাই।’
নেপথ্যে সুতপার ঠিকানা
প্রসূন রহমানের কাজ ভালো লাগে আইশার। বিশেষ করে ‘সুতপার ঠিকানা’ আইশার খুব পছন্দের ছবি। অপর্ণা ঘোষ অভিনীত চরিত্রটি মনে গেঁথে আছে তাঁর। প্রসূনের কাছ থেকে ‘শেকড়’-এর প্রস্তাব পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত আইশা। প্রথমত ‘সুতপার ঠিকানা’ নির্মাতার সঙ্গে কাজের সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাননি। তার ওপর গল্প শুনে বর্তে গেলেন পুরোপুরি। আইশা  বলেন, ‘আমি সব সময় ভালো গল্পের অপেক্ষায় থাকি। গল্পটা শুনেই ভালো লাগে। আমার চরিত্র সম্পর্কে জানার পর আরো ভালো লাগে। মনে হলো, আমি তো এমন কিছুর জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে প্রসূন ভাইকে হ্যাঁ বলে দিলাম।’ দেশে কত কত অভিনেত্রী, প্রসূন কেন আইশাকেই বাছলেন? পরিচালকের কাছে সেটাও জানতে চেয়েছিলেন আইশা। প্রসূন তাঁকে জানান, চরিত্রটির জন্য লম্বা, স্লিম ও লম্বা মুখের মেয়ে দরকার। অনেককেই দেখেছেন, পছন্দ হয়নি প্রসূনের। আইশার কথা পরিচালককে বলেন এফ এস নাঈম। প্রস্তাব দেওয়ার আগে আইশার ছবি ও কিছু কাজ দেখে নিয়েছিলেন প্রসূন। ‘শেকড়’-এ আইশার সহশিল্পীও নাঈম।
ফাল্গুনী সমাচার
ছবিতে আইশা অভিনয় করবেন ফাল্গুনী নামের এক তরুণীর চরিত্রে। চরিত্রটি সম্পর্কে বিস্তারিত বলবেন না, সেটা জানা কথা। তবে ধারণা দিয়েছেন। ফাল্গুনী উচ্চাঙ্গসংগীত খুব পছন্দ করে, রবীন্দ্রসংগীতের তালিমও নেয়। খুব সাধারণ মেয়ে, অল্পতেই খুশি হয় আবার কষ্টও পায়। আইশা বলেন, ‘আমার মুখে শুনে হয়তো চরিত্রটা খুব সাদামাটা মনে হচ্ছে, তবে পর্দায় অসাধারণ লাগবে। কারণ গল্পের পরতে পরতে আছে টুইস্ট।’
ঈদেই পাঁচ নাটক
শুরু থেকেই টিভিতে কম কাজ করতে ভালোবাসেন। সারা বছরে পাঁচ-সাতটা নাটকে দেখা যায় তাঁকে। তবে এ বছর রোজার ঈদেই পাঁচটি নাটক প্রচারিত হয়েছে তাঁর। ‘সারা বছরের নাটক এই ঈদেই প্রচারিত হয়ে গেছে। নিজেও বুঝতে পারিনি ঈদে এতগুলো নাটক আসবে। দর্শক নাটকগুলো দেখে ভালো-মন্দ মিলিয়ে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। কোনোটিতে হয়তো আমার অভিনয় ভালো লেগেছে তাঁদের, কোনোটির নির্মাণ বা গল্প। আমি সবার প্রতিক্রিয়াকে সম্মান জানাই’, বলেন আইশা।
কোরবানির ঈদে নেই
সামনে কোরবানির ঈদ। ‘শেকড়’-এর কারণে ঈদের কোনো নাটক করছেন না আইশা। তবে পুরনো দু-একটা নাটক প্রচারে আসতে পারে। যদি না আসে, তাহলে কোরবানির ঈদে টিভিতে তাঁকে পাওয়া যাবে না। এই সময়ে বিজ্ঞাপনচিত্রও করবেন না, থাকবেন না উপস্থাপনায়ও।
আপাতত ওটিটি নয়
ওটিটি প্ল্যাটফরমে নিয়মিতই কাজ করেছেন। আপাতত ওটিটিতেও দেখা যাবে না তাঁকে। কারণ ভালো গল্প ও চরিত্রের অভাব। আইশা বলেন, ‘ভালো চরিত্র পেলে স্বল্প সময়ের জন্যও উপস্থিত হতে চাই। চরিত্র ভালো না হলে দীর্ঘ সময় পর্দায় উপস্থিত থেকেও লাভ নেই। আমার কাছে ওটিটির যে প্রস্তাবগুলো আসছে কোনোটিরই গল্প পছন্দ হচ্ছে না। সে কারণে আপাতত বিরতি।’