২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ অপরাধ, খুলনা নিম্নমানের বিটুমিনেই ঝিনাইদ – যশোর সহ বিভিন্ন মহাসড়কের বেহাল দশা || দুদকের অভিযান
৯, মে, ২০২৪, ৫:১৫ অপরাহ্ণ - প্রতিনিধি:

চীফ রিপোর্টার:

– নিম্নমানের বিটুমিনেই ঝিনাইদহ-যশোর ও ময়মনসিংহ সড়ক জোনের বিভিন্ন মহাসড়কের বেহাল দশা হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঝিনাইদহ অফিস থেকে সরেজমিন অভিযানে এমন প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।

দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম ঝিনাইদহ-কালীগঞ্জ মহাসড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা পরিদর্শন করেছে।

অভিযানে বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যম কে বলেন, সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের বিটুমিনের ব্যবহার ও অন্যান্য অনিয়মের ফলে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের বেশ কিছু স্থানে পিচ-পাথরের জমাট বেঁধে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এতে যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে—এমন অভিযোগে অভিযানে নামে দুদক। অভিযান পরিচালনাকালে এনফোর্সমেন্ট টিম ঝিনাইদহ-কালীগঞ্জ মহাসড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করে। সরেজমিন পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর বক্তব্য পর্যালোচনায় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে বলে মনে করছে এনফোর্সমেন্ট টিম।

তিনি বলেন, রাস্তার নমুনার ল্যাব টেস্টের রিপোর্ট প্রাপ্তিসাপেক্ষে অভিযোগের বিষয়ে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

এ নিয়ে দুদকে আসা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের স্থানে স্থানে দেখা দিয়েছে গর্ত ও ঢিবি। পাশ থেকে দেখতে ঢেউ খেলানো। কিছু জায়গায় ঢিবিগুলো দেখতে অনেকটা সড়ক বিভাজকের মতো। ঝুঁকি নিয়েই জাতীয় মহাসড়কটিতে যানবাহন চলাচলের কারণে মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা।

এদিকে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে ঢিবিগুলো মেশিন দিয়ে কেটে দিচ্ছে। কিন্তু দুই-চার দিন যেতে না যেতেই আবার আগের অবস্থা হয়ে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়েছে, সড়কটি দিয়ে ছোট যানবাহনও চলাচল করতে পারছে না।

সড়কটির এমন অবস্থার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দুষছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করার কারণে সড়কের এ অবস্থা হয়েছে। এমনকি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলীদের মতেও সড়ক নির্মাণকাজে ৬০-৭০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেখানে ৮০-৯০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করলে সড়ক ড্যামেজ হবেই।

প্রসঙ্গত, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর, মাগুরা পার হয়ে এই সড়ক শুরু। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা-যশোরে চলাচলকারী পরিবহনগুলো এই সড়ক ব্যবহার করতো। পদ্মা সেতু চালুর পর খুলনা রুটের পরিবহনগুলো ফরিদপুরের ভাঙ্গা, গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাট হয়ে চলাচল করে। আর যশোরের পরিবহনগুলো ভাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, নড়াইল হয়ে চলাচল করে।

অপরদিকে ময়মনসিংহ সড়ক জোনের আওতায় ময়মনসিংহ – টাংগাইল মহাসড়কে খাগডহর, ঘুন্টি, মুক্তাগাছা সড়ক। ময়মনসিংহ – নেত্রকোনা সড়ক ময়মনসিংহ – জামালপুর সড়ক, ময়মনসিংহ – হালুয়াঘাট সড়কে নিম্ন মানের বিটুমিন পরিমাণ কম দেওয়া সহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সড়ক নির্মান করা হয়েছে।