চীফ রিপোর্টার: – শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর সাবেক ও বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি ল্যান্ডের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে।
শ্রীবরদী উপজেলার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ গোলাপ হোসেন আজ সোমবার দুপুরে নালিতাবাড়ীর সিআর আমলি আদালতে মামলাটি করেন। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদবির নিচে নন এমন একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন নালিতাবাড়ীর সাবেক ইউএনও ও বর্তমানে জামালপুরের বকশীগঞ্জের ইউএনও মাসুদ রানা, নালিতাবাড়ীর বর্তমান ইউএনও ফারজানা আক্তার ববি ও নালিতাবাড়ীর এসি ল্যান্ড আনিসুর রহমান।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত বছরের জুনে আদালতের মাধ্যমে ২৫ হাজার ঘনফুট বালু নিলামে কেনেন ব্যবসায়ী গোলাপ। তাঁকে বালু বুঝিয়ে দিতে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তৎকালীন ইউএনও মাসুদ। পরে তিনি বদলি হয়ে বকশীগঞ্জে চলে গেলে বর্তমান ইউএনও ফারজানা ও এসি ল্যান্ড আনিসুর চাঁদার ওই টাকা না পেয়ে বালু বুঝিয়ে দিচ্ছেন না।
বাদী গোলাপ বলেন, ‘আমি বৈধভাবে সরকারি জব্দ বালুর ইজারা পাওয়ার পর ইউএনও সাহেব ৬ লাখ টাকা ঘুষ চায়। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় সে আমাকে বালুগুলো দেয়নি। তাই আমি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আমি এখন এর ন্যায়বিচার চাই।’
গোলাপের আইনজীবী জাহিদুল হক আধার গণমাধ্যম কে বলেন, ‘আমার মক্কেল আদালতের মাধ্যমে ২৫ হাজার সিএফটি বালু ক্রয় করে। কিন্তু সাবেক ও বর্তমান ইউএনও এবং বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাঁর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। দীর্ঘ ৯ মাস ধরে তিনি এভাবেই ঘুরছেন। তাই তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।’
এ বিষয়ে জানতে গণমাধ্যমের প্রতিনিধি বর্তমানে বকশীগঞ্জের ইউএনও মাসুদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততার কথা বলে সংযোগ কেটে দেন। অন্যদিকে নালিতাবাড়ীর বর্তমান ইউএনও ফারজানা আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘বিষয়টা আমার সময়ের নয়। ওই সময় ইজারাদারের সাত দিনের মধ্যে বালু নিজ উদ্যোগে অপসারণ করে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল; কিন্তু সে নেয়নি। এ ছাড়া চাঁদাবাজির বিষয়ে আমি অবগত নই।
ছবি, সংগৃহীত