তথ্য প্রতিদিন : বন অধিদফতরের দেড় হাজার কোটি টাকার ‘সুফল’ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গত রোববার দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ কর্মকর্তা) আকতারুল ইসলাম।
অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে ডিপিডিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে নিজ প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি সরবরাহসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।
দুদক জানায়, দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রয়োজন মোট ভূখণ্ডের ২৫ শতাংশ বনভূমি। এই লক্ষ্য সামনে রেখে ২০১৮ সালে ‘টেকসই বন ও জীবিকা’ শীর্ষক সুফল প্রকল্প গ্রহণ করে বন অধিদফতর। দেড় হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পটি বন মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় উদ্যোগ হলেও দুদকের অভিযোগ মাঠপর্যায়ের প্রায় সর্বত্রই হয়েছে দুর্নীতি।
গত ফেব্রুয়ারিতে দুদকের অভিযানে মেলে, কাগজে-কলমে কাজ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ। এতে প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, নিজের প্রতিষ্ঠানে তৈরি নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ডিপিডিসিতে সরবরাহ, পদোন্নতিতে অনিয়ম এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সংস্থাটির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
এদিন ঋণের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এমডি সৈয়দ আব্দুল হামিদসহ সাবেক ও বর্তমান ১৬ কর্মকর্তাকে আগামী ১২ ও ১৩ আগস্ট তলব করেছে দুদক।