চীফ রিপোর্টার =
আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যেই তার ৪টি অঙ্গসহযোগী এবং ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেছে। কিন্তু শু’দ্ধি অভিযানে ক্ষ’তবিক্ষত এসব সংগঠনগুলোর কাউন্সিল অধিবেশন যেন সুষ্ঠুভাবে হয়, সেটা তদারকির জন্য ৪ সিনিয়র নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র তা নিশ্চিত করেছে।*
তবে এই ৪ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও দলের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি তত্ত্বাবধানে এই অঙ্গসহযোগী এবং ভাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। নতুন নেতৃত্ব চূড়ান্ত করবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।*
জানা গেছে, যেহেতু এই সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে নানারকম অভি’যোগ উঠেছে, তাই এই সময়ে সম্মেলন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সেজন্য একজন কেন্দ্রীয় নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে যাতে তার তত্ত্বাবধানে সম্মেলনগুলো অনুষ্ঠিত হয়। ওই কেন্দ্রীয় নেতা অঙ্গসহযোগী এবং ভাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক পরামর্শ নেবেন।*
উল্লেখ্য যে, আগামী ২ নভেম্বর কৃষক লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কৃষক লীগের সম্মেলন তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাককে। তিনি কৃষিমন্ত্রী এবং সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হওয়ার আগে কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তার তত্ত্বাবধানেই এই কৃষক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। কৃষক লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুর্নির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন যে ঢাকা মহানগরীতে কৃষক লীগের কোনো শাখা কমিটি থাকবে না। শুধু কৃষক নন, যারা কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত, কৃষি নিয়ে গবেষণা করেন, কাজ করেন- তাদেরকেই কৃষক লীগের নেতৃত্বে রাখা হবে।*
আগামী ৯ নভেম্বর ঘোষিত হয়েছে শ্রমিক লীগের সম্মেলনের তারিখ। শ্রমিক লীগের সম্মেলন আয়োজন এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের আরেক নেতা শাজাহান খানকে। তার সঙ্গে শ্রমিকদের অত্যন্ত গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে পরিবহন শ্রমিকদের প্রতি তার একক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বলে গেছে। এজন্যই শাজাহান খানের তত্ত্বাবধানে শ্রমিক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।*
*স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন দেওয়া হয়েছে ১৬ নভেম্বর। স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই সম্মেলনের সার্বিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিমকে। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি এবং তার সময়ে সেচ্ছাসেবক লীগ একটি সক্রিয় সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে পাদপ্রদীপে এসেছিল। বর্তমান সময়ে অনেকটা নিস্ক্রিয় স্বেচ্ছাসেবক লীগকে চাঙা করা এবং নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধান করবেন এই নেতা।*
২৩ নভেম্বর দেশের সর্বাধিক আলোচিত সংগঠন যুবলীগের কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। শু’দ্ধি অ’ভিযানে সবচেয়ে আলোচিত এবং সমালোচিত হয়েছে যুবলীগ। এজন্য যুবলীগের কংগ্রেস অনুষ্ঠান একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুবলীগের সাংগঠনিকভাবে দক্ষ বেশকিছু নেতা হয় জেলে, আ’ত্মগোপনে, নয়তো পলাতক রয়েছেন। কাজেই এই কংগ্রেস সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা এবং সংগঠনটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি’র ছোটভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। শেখ সেলিম আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদস্য।*
*তবে এই ৪ নেতাকে তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হলেও এই সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব তৈরি করা এবং সংগঠনগুলোর কার্যক্রম পুনর্নির্ধারণ করার দায়িত্বটি পালন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।