শেখ রাজীব হাসান,গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
টঙ্গীতে মাদকের টাকা না পেয়ে স্ত্রী সাজেদা বেগমকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় তার স্বামী মো. রুবেল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় মেঘনা রোডের বস্তিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাজেদা বি-বাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার সুভারামপুর গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে।
নিহতের বাবা মোঃ ফরিদ মিয়া জানান, বিয়ের পর পরই জানা জায় রুবেল মাদকাসক্ত। মাদকের টাকা না থাকলে রুবেল আমার মেয়েকে মারধর করতো। সাজেদাকে যৌতুকের টাকা নিয়ে আয় বলে মারধর করতো। সাজেদার বড় ছেলে সোহাগ(৮) ও মেয়ে রিতা(৭) একটু বড় হলেও সে তার দেড় মাসের ছোট বাচ্চাকে রেখে রুবেল ও পরিবারের জোগান দিতে অন্যের বাড়িতে গিয়ে কাজ করতো। কিন্তু এত কষ্টো করার পরেও আমার মেয়ে ওর হাত থেকে রেহাই পেল না। আমি এই দেড় মাসের নাতির ভবিষ্যত কি হবে। আমার মেয়ের হত্যার সুস্থ্য বিচার চাই।
টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) মানিক মাহমুদ জানান, গত কয়েক বছর আগে রুবেল ও সাজেদার বিয়ে হয়। তারা মেঘনা রোড বস্তিতে থাকতেন। যৌতুক ও মাদকের টাকা না পেয়ে শনিবার দিবাগত রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রুবেল তার স্বী শাজেদাকে বাঁলিশ চাপা দিয়ে শ্বাস রোধে হত্যা করেছে বলে ধারনা করা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। নিহত সাজেদা তিন সন্তানের জননী।
টঙ্গী পুর্ব থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় রুবেল মিয়াকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।