ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ৩ নং অচিন্তপুর ইউনিয়নের অর্ন্তগত পাঁচকাহনিয়া গ্রামের ৩ সন্তানরর জননী বিধবা মোছাঃ নাছিমা আক্তার (৪০) এর গর্ভে থেকে কন্যা সন্তানের জন্ম হয় ।
জানাগেছেঃ এই বিধবা মহিলাটির স্বামী ফরিদ মিয়া, বিগত প্রায় ১ বৎসর ৩ মাস পূ্র্বে মৃতু্যবরণ করে। তারপর থেকে পার্শ্বের বাড়ির মোঃ রহম আলীর, ছেলে, সেলিম মিয়া, (৪২) বিধবা মহিলাটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে একাধিকবার মিলনও ঘটে। এব্যাপারে বিধবা নাছিমা জানান যে প্রথমে আমাকে ডর ভয়দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করা হয় পরবর্তীতে আমাকে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিকবার শারীরিকভাবে মিলন হয় । এই সম্পর্কের ফসল গত ১৫ জুন ২০২০ সোমবার বিধবার গর্ভে থেকে একটি কণ্যা সন্তানের জন্ম হয় । এই সন্তানের দায়ভার সেলিম মিয়া নিতে অস্বীকার করলে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানালেন মোটা অংকের টাকা লেনদেনের মধ্য দিয়ে ঘটনাটি দফারফার চেষ্টা চলছে, বেশ কয়েক জনকে টাকার বিনিময়ে মুখ বন্ধও করা হয়েছিল । এব্যাপারে গত ২১ জুন ২০২০ রবিবার ভিকটিম বিধবা নাছিমা নিজেই বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা করে, মামলার নং ২০/২৪৭ তাং ২১/৬/২০২০। এবেপারে উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ জামাল হোসেন জানান আসামী ধরার চেষ্টা চলছে। উক্ত বিষয়ে ৩ নং অচিন্তপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম অন্তরের নিকটে জানতে চাইলে, তিনি জানান আমিও ঘটনাটি বিষয়ে শুনেছি, আমিও চাই প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি হউক। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান আসামি প্রায় সময়ে প্রকাশ্যে ঘুরা ফিরা করতে দেখাযায়। মামলার বাদী বিধবা নাসিমা আক্তার সাংবাদিকে আরও জানান যে, আসামী সেলিম মিয়া, আমাকে মামলা তু্ইল্লা নেওয়ার জন্য হুমকি দিতাছে। আমি ওহন কি করবো আমি গরীব বলে কি ন্যায় বিচার পাইতাম না স্যার। আমি বাঁশ কিন্না দাড়ি বুন্না বাজারে যায়া বেসি ওহন আর বেশি কষ্ট করতে পারি না। আমার সন্তানদের নিয়ে প্রায় দিনেই ওভাস থাকি, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই । এবেপারে এলাকার লোকজনের সাথে কথা বললে সকলেই সুস্থ বিচারের দাবী করেন।