বহু তরুণকে প্রতারণা ও নি:স্ব করেছেন। অবশেষে তাকে আমরা ঠিকানায় নিয়ে এসেছি।
বর্ডার ক্রস বাইক পেইজের মালিক এখন সত্যিই বেনাপোলে। তবে পুলিশের হেফাজতে।
নাম, আরমান হোসেন, বয়স ৩২। পিতা:শাহ আলম মাতা: জোসনা বেগম। স্থায়ী ঠিকানা,: গ্রাম ভুবনগড়, ভুবনগড়, আমড়াতলী, কুমিল্লা আদর্শ সদর, কুমিল্লা। বর্তমান ঠিকানা: ব্লক ডি, রোড নাম্বার ৫২৯, রানীয়া এভিনিউ, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ভাটারা, ঢাকা।
ছবিতে দেখুন! ইনিই সেই প্রতারক আরমান।
নিষ্পাপ চেহারায় কি নিষ্ঠুর কদর্য মন! বেনাপোল কাস্টম হাউসের নামে ফেসবুক পেইজ, ইমেইল খোলেন। কর্মকর্তাদের ছবি লাগিয়ে নিজেরে বিশ্বাসযোগ্য করেন। বর্ডারক্রস বাইক বিক্রির চটকদার বিজ্ঞাপন দেন। মানি ব্যাক গ্যারান্টি দেন। অসংখ্য সৌখিন বাইক-ক্রেতার টাকা মেরে পেইজ বন্ধ করে গায়েব হয়ে যান। আবার পেইজ নতুন পেজ খোলেন।
আমাদের পেইজ ইনবক্সে অসংখ্য অভিযোগ আসে। তথ্যপ্রমাণসহ আরও নঈম মীরন সদর থানায় মামলা করেন। বেনাপোল কাস্টম হাউসের মামলার প্রেক্ষিতে গত পরশু এ প্রতারককে আলামতসহ আটক করা হয়।
মুখ দেখে ভুল করোনা,
মুখটাতো নয় মনের আয় না!
ভুল আমাদেরও হচ্ছিল। সুন্দর দাড়িমন্ডিত সুশীল ভদ্র সুরত! দেখে বোঝার উপায় নেই কসরত! ছবি পাবার পর আমারও মনে হয়েছে, তারা ভুল করছে কি-না। চেহারার সাথে অপকর্মতো যায় না।
দু:সাহস ও অপজ্ঞানের আধার এ তরুণ! খুব চাতুর্যের সঙ্গে নানান কৌশলের প্রতারণা তার। আমাদের পেইজের ইনবক্সে তার প্রতারণার বহু অভিযোগ। পুলিশের সাইবার ক্রাইম দমন ইউনিটকে বেগ পেতে হয়নি। বন্ধু অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, Monirul Islam মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন এখন অনন্য মাত্রায়। আমরা তোমাদের জন্য গর্বিত!
পুলিশের ঢাকার সাইবার ইউনিটের ডিসি গোলাম কিবরিয়া ও যশোরের এসপি আশরাফ হোসেন যৌথভাবে এ মিশন সফল করেন। বেনাপোল কাস্টম হাউসের এডিসি নেয়ামুল ইসলাম সমন্বয় করেন। একটা সফল মিশনের এ প্রধান কুশীলবগণ ধন্যবাদার্হ!
লোভে পাপ, পাপে মরণ! লোভীরা প্রথমে বোঝে না।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩)-এর ৫৪, ৫৬ ও ৫৭ ধারা অনুযায়ী, আরমানের অপরাধ প্রমাণিত হলে ন্যুনতম ৭বছর থেকে ১৪বছরের জেল ও দশ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
দেশের কোনে, অন্দরে, বন্দরে, সদরে, দূরে, অদূরে লুকিয়ে থাকা সাইবার অপরাধীরা এ থেকে একটা বড় শিক্ষা নিতে পারেন!