১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ জাতীয়, রাজনীতি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এড.আজিজুল হকের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।।
৮, সেপ্টেম্বর, ২০২১, ২:১৪ অপরাহ্ণ - প্রতিনিধি:

স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাবেক নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত জননেতা অ্যাডভোকেট আজিজুল হকের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। প্রয়াত এড.আজিজুল হক আওয়ামী লীগের ক্রান্তিলগ্নে আশির দশকে মিনি পার্লামেন্ট খ্যাত ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলীয় কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে সাবেক ধর্মমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমানকে হারিয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

একই কাউন্সিলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ভাষাসৈনিক জননেতা রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া।
এড.আজিজুল হক ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বরত অবস্থায়ই অকালমৃত্যু বরণ করেন।জাতির জনকের কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তাকালীন আওয়ামী লীগের সংকটময় মূহুর্তে এড.আজিজুল হক অত্যন্ত সাংগঠনিক মুন্সিয়ানার সহিত তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সফলভাবে পালন করতে সক্ষম হন। ময়মনসিংহ জেলা বারের প্রথিতযশা আইনজীবী ও জনবান্ধব রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত প্রয়াত জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. আজিজুল হক রাজনীতির মাঠে ক্লিনম্যান ও নির্মোহ রাজনীতিবিদ হিসেবে ময়মনসিংহের আইডল হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
প্রয়াত এড.আজিজুল হকের পারিবারিক উদ্যোগে তার স্মৃতি স্মরণে প্রয়াতের কবর জিয়ারত, শোক সভা ও মিলাদ মাহফিল সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
তথ্য প্রতিদিনকে এক সাক্ষাৎকারে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সংকটময় মুহুর্তে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এড.আজিজুল হক-এঁর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর আপন ভাতিজা ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ শফিকুল হক শুভ বলেন, আমার প্রয়াত চাচা ছিলেন গণমানুষের নেতা।তিনি আখের গোচানোর ও রুটি-হালুয়ার ভাগাভাগির রাজনীতি করেননি,নিজের গাটের পয়সা খরচ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড পরবর্তী আওয়ামী লীগের চরম সংকটকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে ময়মনসিংহের রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক ধারা তিনি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলো।
এড. আজিজুল হকের মত একজন নির্মোহ সৎ রাজনীতিবিদের পরিবারের সদস্য হিসেবে আমরা সমাজে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি।আমরা বিশ্বাস করি, আমার চাচার মতো দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ দেশপ্রেমিক নেতাদের অসীম ত্যাগের ফলেই আজ একযুগ যাবৎ জাতির পিতার হাতেগড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরবিচ্ছিন্নভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় রয়েছে।
আমাদের ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নিকট দাবী জানাই মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এড. আজিজুল হকের মত বরেণ্য রাজনীতিবিদের নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে দলীয়ভাবে তাদের স্মৃতি সংরক্ষণ ও জীবনাদর্শ প্রচার সহ বিভাগীয় নগরী ময়মনসিংহে এড.আজিজুল হকের স্মৃতি চিরজাগরুক রাখতে একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপনা তার নামে অলংকৃত করা হোক।