গৌরীপুর প্রতিনিধিঃ
মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদে ক্ষুব্দ গৌরীপুরের রাইস মিল মালিকরা
‘বন্ধ মিলে বরাদ্দের অভিযোগ’ শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় প্রকাশিত মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে স্থানীয় রাইস মিল মালিকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরকারের চলতি আমন সংগ্রহ অভিযানে যাচাই-বাছাই করে এ উপজেলায় চালুকৃত ১১ টি অটো রাইস মিল ও ১৫ টি রাইস মিলকে সিদ্ধ চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়। কিন্তু দেখা গেছে, কতিপয় সাংবাদিক সরজমিনে তদন্ত না করেই বরাদ্দ দেয়া হয়নি এমন রাইস মিলে ছবি দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাশাপাশি মিথ্যা সংবাদে হতবাক হয়ে পড়েন মিল মালিকগণ। তাই রাইস মিলগুলোর বাস্তব চিত্র তুলে ধরার জন্য স্থানীয় সাংবাদিকদের সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানান মিলারগণ।
মিলারদের আমন্ত্রণে স্থানীয় সাংবাদিকগণ এ উপজেলার ১১টি অটো রাইস মিল ও ১৫ টি রাইস মিল পরিদর্শন করে সবগুলো মিল চালু অবস্থায় দেখতে পান। পরিদর্শনকালে দুটি চাতাল মিলে ধান শুকানো অবস্থায় না পেলেও গুদামে ধান মজুদসহ মেশিনারীজ চালু অবস্থায় দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য শস্য সংগ্রহ কমিটির সদস্য ও রাইচ মিল মালিক সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন জুয়েল জানান, আমন মৌসুমে পর্যাপ্ত রোদ না থাকায় চাতাল মিল মালিকরা ধান শুকাতে পারেন না। তাই এ মৌসুমে মাঝে মধ্যে তাদেরকে নিরুপায় হয়ে মিল বন্ধ রাখতে হয়। এসময় চাতাল মিল মালিকদের রোদের অপেক্ষায় থাকতে হয়। তবে বোর মৌসুমে চাতাল মিলগুলো নিয়মিত চালু থাকে।
স্থানীয় রাইস মিল মালিকরা জানান, স্থানীয় পাল রাইস মিল প্রায় এক বছর ধরে স্থায়ীভাবে বন্ধ থাকায় চলতি মৌসুমে এ রাইস মিলের নামে কোন বরাদ্দ দেয়া হয়নি। অথচ কতিপয় সাংবাদিক এ রাইস মিলের ছবি দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনগণের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছেন। এসময় তারা এ মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের আহবান জানান।