গতকাল ১৭ আগস্ট সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে কাজে গিয়েছিলাম গণপুর্ত বিভাগের একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিসে। তখন মনে স্বরণ হয় গৃহায়ণ ও গণপুর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি (শরীফ ভাই) এর কথা সংসদ ভবনে যখন এসেছি তাহলে শরীফ ভাই এর সাথে সাক্ষাৎ করে যাই । তখন আমি মোবাইলে ফোন দিলাম ময়মনসিংহের ৮০/ ৯০ এর দশকে তুখোড় জনপ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা বর্তমান ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতা ফিরোজ ভাই কে আমি বললাম ফিরোজ ভাইকে সংসদ ভবনে গনপুর্ত বিভাগে কাজে এসেছিলাম শরীফ ভাই ঢাকা না ময়মনসিংহে ফিরোজ ভাই বল শরীফ ঢাকায় দেখা কর । তখন আমি শরীফ ভাই এর মোবাইলে ফোন দিলে সে ব্যস্ততার মাঝে ফোন রিসিভ করলে আমি পরিচয় দেওয়ার পর শরীফ ভাই আমাকে বলল সেলিম কি খবর কোথায় তখন আমি বললাম ভাই আপনার সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম তখন শরীফ ভাই বলল এপিএস হাবিব কে ফোন দে আমি হাবিব ভাই কে ফোন দিলাম। হাবিব ভাই বলল সেলিম ভাই আপনি আপনি ৬ নং ব্লকে ১২৯ নাম্বার রুমে আসেন তখন আমি ১২৯ নাম্বার রুমে গেলাম তখন দেখা হয় হাবিব ভাই ও ফুলপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের একজন প্রবীণ নেতা, একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সাথে তখন হাবিব ভাই আমাকে বলল সেলিম ভাই বসেন কি অবস্থা কেমন আছেন আমি বললাম ভালো আছি শরীফ ভাই এর সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম তখন হাবিব ভাই বলল স্যার মিটিং করে এসেছেন লাঞ্চ করবে আপনি বসেন । হাবিব ভাই আমাকে এবং অন্য মেহমান দেরকে মুড়ি – চা অপ্যায়ন করালেন । শরীফ ভাই এবং এপিএস হাবিব ভাই এর সুন্দর ব্যবহারে আমি মুগ্ধ ।
পরে ফুলপুর আওয়ামীলীগ নেতারা সাক্ষাৎ শেষে চলে গেলো আমিও আমার ঢাকার ভাড়া বাসায় চলে গেলাম ।
*** সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে কতিপয় জনপ্রতিনিধির সাথে দলের নেতা কর্মীরা দেখা করতে চাইলেও পারেন না । আবার অনেক এমপি, মন্ত্রীদের সাথে দলের নেতা কর্মীরা সহজেই সাক্ষাৎ করতে পারে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী স ম রেজাউল করিম এমপি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম এমপি, ভোলার সাংসদ আলী আজম মুকুল, ময়মনসিংহের সাংসদ মোসলেম উদ্দিন, ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল ভাই সহ অনেক এমপি, মন্ত্রীর সাথে দলের নেতা কর্মী ও এলাকার জনগণ সহজেই সাক্ষাৎ করতে পারেন। তাদের কর্মকান্ডে দলীয় নেতাকর্মীরা সন্তুষ্ট। তৃণমুলের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছেন। আবার অনেকের কর্মকান্ডে নেতাকর্মীরা অসন্তুষ্ট । বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে টিকিয়ে রেখেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন মিটিংয়ে বলেছেন ।
** ময়মনসিংহের এক সংসদ সদস্য এর কর্মকান্ডে দলের নেতাকর্মীরা অসন্তুষ্ট । স্হানীয় আওয়ামীলীগ চার গ্রুপে বিভক্ত । ঐ সাংসদ সাবরেজিস্টি অফিসে ঘুষের রেট বারিয়ে দিয়েছে একটি সুত্র জানায় ।
জেলা রেজিস্টার এর নির্দেশ মানে না কর্মচারী । এবং সব জায়গায় তার হস্তক্ষেপ। দলীয় কর্মসুচী পালন হয় পৃথকভাবে ।
লেখক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সাংবাদিক
মোঃসেলিম মিয়া